
ফেসবুক মার্কেটিং
বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। এ যুগে অধিকাংশ ব্যবসা-বানিজ্য অনলাইন ভিত্তিক পরিচালনা করা হয়। আর এই অনলাইনে নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে হলে নতুন নতুন কৌশল শিখতে হবে। প্রোডাক্ট সেলের জন্য মার্কেটিংয়ের চেয়ে উত্তম কোন পন্থা নেই। বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের মার্কেটিং সিস্টেম রয়েছে। ফেসবুক মার্কেটিং তন্মধ্যে সর্বোত্তম।
ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দক্ষতা না থাকলে, আপনি কখনই ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেটিং করতে যে বিষয় গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আজ সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করবো। আপনারা যদি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েন, তাহলে নিজেরাই সব জানতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে যদি আপনি ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন না করেন, তাহলে কখনই আপনি আপনার ব্যবসায়ে লাভবান হতে পারবেন না। আশা করবো ধৈর্য্য ধরে লেখাটি সম্পূর্ণ পড়বেন। অনেক উপকৃত হবেন। ইন শা আল্লাহ। ( smalamgir )
ফেসবুক মার্কেটিংয়ের দক্ষতা অর্জন করতে আপনাকে প্রথমে যে বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল করতে হবে, সেগুলো নিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দেওয়া হলো। আশা করবো, প্রতিটি টপিকস খুব সুন্দর ভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কারণ বুঝার দক্ষতা সবার এক নয়।
১) Mind Setup :
আপনার যে কাজটি করতে ভালো লাগে, প্রথমে সেই কাজটি আগে নিজের মধ্যে সেট আপ করে নিতে হবে। কারণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ করা উচিত নয়। এবং তাতে সফলতা পাওয়া যায় না। সুতরাং প্রথমে নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। অবশ্যই সেটা যেন ডিমানফুল হয়। কারণ অহেতুক কোন কাজে সময় নষ্ট করা মোটেই ঠিক নয়।
.
২) নির্দিষ্ট পরিকল্পনা :
আপনি যে কাজটি করার জন্য নিজের মধ্যে মাইন্ড সেট আপ করে নিলেন। সেই কাজটির সফলতা অর্জর করার জন্য আপনাকে সুন্দর একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কেননা সঠিক পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। আপনি যত সুন্দর ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন, আপনার সফলতাও তত দ্রæত আসবে।
৩) পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করা :
সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার পর আপনাকে যে বিষয়ে খেয়াল করতে হবে তা হলো- আপনার কাজটি সফল করতে আপনাকে কি কি করতে হবে ? কি কি জিনিস আপনাকে পূর্বেই ব্যবস্থা করতে হবে? কোথায় কোথায় আপনাকে কি কি করতে হবে সেই বিষয়ে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। ( smalamgir )
৪) Create a Facebook page:
আপনি যে বিষয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার মাইন্ড সেপআপ করেছেন, ঠিক সেই বিষয়ে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করুন। এবং প্রতিনিয়ত সেই পেইজটি আপডেট রাখুন।
.
৫) Proper Facebook customize
ফেসবুক পেইজ তৈরি করার পর অবশ্যই সেই পেইজকে সুন্দর ভাবে কাস্টমাইজ করুন। সুন্দর আকর্ষনীয় একটি লগো এবং একটি কভার ফটো দিন। এবং অন্যান্য বিষয় গুলো সঠিক ভাবে কাস্টমাইজ করুন।
৬) লাইক বৃদ্ধি :
ফেসবুক পেইজে লাইক কম থাকলে, অডিয়েন্স আপনার পেইজে আসতে চাইবেনা। তাই প্রথমে আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবী, পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজনদেরকে আপনার ফেসবুক পেইজে এনে লাইকের সংখ্যা বৃদ্ধি করুন। তারপর সময় মতো মাসে ২/৩ বার বুস্ট করুন। কয়েক মাস করার পর দেখবেন, আপনার পেইজে ভিজিটর অনেক বেড়ে গেছে। ( smalamgir )
৭) Target Audience :
লাইক বাড়ানোর পাশা-পাশি আপনাকে সঠিক অডিয়েন্সকে আপনার পেইজের আনার টার্গেট করতে হবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, সেই বিষয়ে কে কে আগ্রহী বা কার কার প্রয়োজন বেশি, তাদেরকে আপনার পেইজে আনতে হবে। বুস্টে মাধ্যমে আপনি অতি সহজে সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করতে পারবেন।
.
৮) Contain Development : আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট আপনাকে তৈরি করতে হবে। আপনার কনটেন্ট যত ভালো হবে, ভিজিটর আপনার প্রোডাক্ট দেখার আগ্রহ দেখাবে। কনটেন্ট তৈরি বিষয়ে অবশ্যই আপনার প্রোডাক্ট এর বিষয়ে খেয়াল রেখেই কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
.
চলবেই………